জন্ডিস রোগের লক্ষণ গুলো কি কি জানুন
প্রিয় পাঠক পাঠিকাবৃন্দ আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না যে, জন্ডিস রোগের লক্ষণ গুলো কি কি হতে পারে, জন্ডিস হলে কি খাবার খেতে হয় আবার কি খাবার খেতে হয় না, জন্ডিস হলে কি ওজন কমে ইত্যাদি সম্পর্কে হয়তো সঠিক তথ্য ওয়েবসাইটে খুঁজছেন কিন্তু খুঁজে পাচ্ছেন না
তাই এ লক্ষণগুলোর মাধ্যমে জানাতে চেষ্টা করছি যে,জন্ডিসের লক্ষণ ও প্রতিকার, জন্ডিস কি ভাইরাস জনিত রোগ ,জন্ডিস হলে কি ওষুধ খাব? জন্ডিস হলে করণীয়, জন্ডিস কতদিনে ভালো হয় তাই সঠিক তথ্যটি পেতে পুরো লেখাটি পড়ুন
পেজ সূচিপত্র:জন্ডিস রোগের লক্ষণ গুলো কি কি
- জন্ডিস হলে কি কি খাবার খেতে হয়
- জন্ডিস হলে কি ওজন কমে যায়
- জন্ডিসের লক্ষণ ও প্রতিকার
- জন্ডিস কি ভাইরাস জনিত রোগ
- জন্ডিস হলে কি ওষুধ খাব
- জন্ডিস হলে করণীয়
- জন্ডিস কত দিনে ভালো হয়
- শেষ কথা
জন্ডিস হলে কি কি খাবার খেতে হয়
জন্ডিস হচ্ছে রোগের লক্ষণ মাত্র। জন্ডিস দেখা দিলে রক্তে থাকা বিলরুবিন বেড়ে যায়। এজন্য ত্বক অথবা চোখের সাদা অংশ ও হাতের তালু হলুদ দেখা যায়। এর ফলে এমন খাবার খেতে হবে যেন শরীর হলুদ ভাব আস্তে আস্তে কমে যায় এবং জন্ডিস সেরে যায়। জন্ডিস হলে যেসব খাবারগুলো খেতে হয় তা হলো-
- ফলের মধ্যে পেঁপে,পেয়ারা,কলা,কমলা,আঙ্গুর এসব ফল খেতে হবে এগুলো শরীরে অনেক পুষ্টি প্রদান করে।
- সবজি জাতীয় খাবার খেতে হবে যেমন গাজর, পালং শাক ,মিষ্টি কুমড়া,পেঁপে ,বাঁধাকপি জাতীয় সবজি জন্ডিস রোগীর জন্য উপকারী।
- জন্ডিস আক্রান্ত রোগীদের ডাবের পানি খাওয়া খুব ভালো এটা শরীরের পানির অভাব পূরণ করে থাকে।
- তাছাড়া আখের রস এ রোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য খুব ভালো।
- পরিমাণ মতো বিশুদ্ধ পানি ও পান করতে হবে।
- গ্লোকজের পানীয় এই রোগীদের জন্য উপকারী
জন্ডিস হলে কি ওজন কমে যায়
হ্যাঁ, জন্ডিস হলে ওজন কমে। কোন ব্যক্তির যদি প্রচন্ড জ্বর সাথে পেটে ব্যথা অনুভব হয় এবংকোন কিছু খাওয়া সম্ভব হয় না খেলেই বমি হয়ে যায়। শারীরিক দুর্বলতা এবং শরীর এর ত্বক চোখের সাদা অংশ হলুদ হয়ে যায় তাহলে বুঝতে হবে তার জন্ডিস হয়েছে।
এ রোগ হওয়ার ফলে যেকোন খাবার খেলেই বমি হয়ে যায়। আবার সব খাবার থেকে কেমন একটা বন্ধ এসে নাকে লাগে। সে গন্ধে খেতে না পারার ফলে শরীরের ওজন তুলনামূলকভাবে অনেক কমে যায়।
জন্ডিসের লক্ষণ ও প্রতিকার
এ রোগ সাধারণ ভাবে গ্রীষ্মকালে দেখা যায়। প্রায় মানুষের এই রোগ দেখতে পাওয়া যায়। তবে জন্ডিস রোগের কিছু লক্ষণ দেখা যায়। নিম্নে লক্ষণগুলো দেওয়া হলো-
- প্রচন্ড জ্বর দেখা যায়
- প্রায় সময় মাথা ঘোরা
- তুলনামূলকভাবে শরীর দুর্বল হয়ে যায়
- সময় সময় অনেক বমি ও হয়
- পেট ব্যথা হতে পারে
- চোখের সাদা অংশ, ত্বক, হাতের তালু ও প্রসাব হলুদ দেখা যায়
- পায়খানার কালার অনেক কালো হওয়া
- সব খাবারের গন্ধ লাগা এবং খেতে না পারা
নিম্নলিখিতভাবে এ লক্ষণগুলো যদি কোন ব্যক্তির দেখা যায় তাহলে ধরে নিতে হবে তার জন্ডিস হয়েছে। লক্ষণ গুলোর মাধ্যমে জন্ডিস আক্রান্ত ব্যক্তিকে খুব সহজেই চেনা যায় বা এ রোগ নির্ণয় করা যায়।
প্রতিকার: জন্ডিস রোগের লক্ষণ যেমন আছে ঠিক এর প্রতিকার আছে। প্রতিকার করার ক্ষেত্রে বেশ কিছু সাবধানতা মেনে চলতে হবে মেনে চললে এর প্রতিকার সম্ভব। অথবা ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া যে কি উপায়ে জন্ডিস রোগের প্রতিকার সম্ভব। জন্ডিস রোগের কিছু প্রতিকার তুলে ধরা হলো যেমন-
- অতিরিক্ত কোমল পানি ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকা।
- পরিস্কার পানি পান করা।
- চর্বিযুক্ত খাবার অথবা বেশি তেল মসলা যুক্ত খাবার পরিহার করা।
- রক্ত পরিষ্কার রাখবে এমন সব খাবার খাওয়া।
- হেপাটাইটিস রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে শারীরিক সম্পর্ক না করা।
- টক জাতীয় খাবার বেশি না খাওয়া।
এই রোগ প্রতিকার করার ক্ষেত্রে এই নিয়ম-কানুন গুলো মেনে চলতে হবে। মেনে চললে দ্রুতএ রোগের প্রতিকার সম্ভব।
জন্ডিস কি ভাইরাস জনিত রোগ
একটি পানি বাহিত রোগ। যেটা পানি দূষণের মাধ্যমে ছড়ায় আবার দূষিত পানি পান করলেও হয়। আর এই পানির মাধ্যমে যে জন্ডিস হয় সেটা হচ্ছে ভাইরাস বাহিত। এই রোগ মূলত দুই ধরনের হেপাটাইটিস এ আর হেপাটাইটিস ই। যেটা ভাইরাস জনিত জন্ডিস রোগ সেটাতে আক্রান্ত রোগীর লিভারে ও জুড়ে যেতে পারে। এই লিভার জুড়ে যাওয়াকে লিভার জন্ডিস বলে। তাই বলা যায় জন্ডিস একটি ভাইরাস জনিত রোগ।
জন্ডিস হলে কি ওষুধ খাব
জন্ডিসের রোগের কোন ওষুধ পাওয়া যায়নি। তবে জন্ডিস ও হেপাটাইটিসের জন্য কিছু সিরাপ পাওয়া যায়। ডাক্তারের নিকট গেলে যে সিরাপটা সাজেস্ট করবে সেটা নিয়মিত খেতে হবে। অনেকেই কবিরাজ দেখিয়ে গাছামো ওষুধ সেবন করে। এসব না করে ডাক্তার এর পরার্মশ নেওয়া উচিত। পরামর্শ না নিয়ে কোন রকম ওষুধ সেবন না করা।
তবে ঘরোয়া ভাবে আখের রস, ঘোল, তরমুজ পেঁপে আবার ডাবের পানি যেটা শরীরের পানির অভাব পূরণ করে এসব জাতীয় খাবার খেতে হবে এবং সবচেয়ে জরুরী সেটা হলো সাবধানতা অবলম্বন। এর ফলে জন্ডিস নিয়ন্ত্রণে আসে শরীরে হলদে ভাব আস্তে আস্তে কমতে থাকে।
জন্ডিস হলে করণীয়
জন্ডিস বলতে আমরা হেপাটাইটিস অথবা লিভার জনিত জন্ডিসকে বুঝি। হেপাটাইটিস শিশুদেরও হয়। বলে জন্ডিস হলে বেশি বেশি ডাবের পানি এবং আখের রস প্রচুর পরিমাণে খেতে। এগুলো খেলে প্রসাবের রং হলুদ থেকে সাদা হতে সাহায্য করে।
তবে মানুষের কথা শুনে প্রচুর পরিমাণে তরল খাবার ও এসব খাবার ফলে জন্ডিস কম হয় না। তাই যেটা স্বাভাবিক খাবার রোজ আমরা গ্রহণ করি সে পরিমাণ খাবার পানি খেতে হবে এবং এ রোগের রোগীদের প্রচুর বিশ্রামের প্রয়োজন হয়। নিয়মিত বিশ্রাম নিতে হবে।
জন্ডিস কত দিনে ভালো হয়?
পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম, বিশুদ্ধ পানি পান এবং ডাক্তারের সাজেস্ট করা সিরাপ সেবন করার ১ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে জন্ডিস ভালো হয়। তবে কিছু নিয়ম মেনে চলাফেরা করতে হবে যেন ভবিষ্যতে আবার এ রোগ যেন না হয়।
শেষ কথা
সম্মানিত পাঠক পাঠিকাবৃন্দ আমার লেখা আর্টিকেলের মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করেছি যে, জন্ডিস রোগের লক্ষণ গুলো কি কি? জন্ডিস হলে কি কি আবার খাবার খেতে হয়, জন্ডিস হলে কি ওজন কমে যায়, জন্ডিসের লক্ষণ ও প্রতিকার, জন্ডিস কি ভাইরাসজনিত রোগ, জন্ডিস হলে কি ওষুধ খাব, জন্ডিস হলে করণীয়, জন্ডিস কতদিনে ভালো হয়, ইত্যাদি সম্পর্কে।
আমার লেখা আর্টিকেলের মাধ্যমে যদি আপনি সঠিক তথ্যটি পেয়ে থাকেন তাহলে আর্টিকেলটি আপনার আত্মীয়দের মাঝে শেয়ার করুন। যেন তারাও এই আর্টিকেল করে সঠিক তথ্যটি জানতে পারে।
জুয়াদ্দার এআই এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রত্যেকটি কমেন্টের উত্তর দেওয়া হয়
comment url