চুলকানি দূর করার উপায় সর্ম্পকে বিস্তারিত জানুন
চুলকানি হলে আমাদের করণীয়চুলকানি দূর করার উপায় নিয়ে আমাদের আজকের এই আর্টিকেল। সাধারণত আমরা অনেকেই চুলকানি নিয়ে বিরক্ত কর পরিস্থিতির মধ্যে আছি। যদি চুলকানি থেকে মুক্তি পেতে চায় তাহলে আমাদেরকে বেশ কিছু কাজ করতে হবে।
বিভিন্ন কারণে চুলকানি হয়ে থাকে। চুলকানি হল ছ্যাঁচড়া জনিত রোগ। আপনি যদি চুলকানি থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে আপনাকে চুলকানি দূর করার উপায় সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে।
সূচিপত্রঃ চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায়
- চুলকানি দূর করার উপায়
- এলার্জি চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায়
- যোনিতে চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায়
- পুরুষাঙ্গে চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায়
- হাত পায়ের চুলকানি দূর করার উপায়
- চুলকানি হওয়ার কারণ সমূহ
- চুলকানি হলে আমাদের করণীয়
- বাচ্চাদের চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায়
- মুখে এলার্জি দূর করার উপায়
- লেখকের শেষ মন্তব্য
চুলকানি দূর করার উপায়
চুলকানি দূর করার উপায় সম্পর্কে আপনাদের সামনে আমরা বিশেষ কিছু আলোচনা করব। বর্তমান সময়ের চুলকানি একটি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। সাধারণভাবে চুলকানি হলেও এটি পরবর্তীতে আমাদের স্কিনে বিভিন্নভাবে ক্ষতিকর রূপ নিতে পারে এবং অনেক পর্যায়ে ক্যান্সার ধারণ করতে পারে।
বেকিং সোডা -- চুলকানির জন্য বেকিং সোডা অনেক উপকারী এর জন্য সামান্য পানির সাথে বেকিং সোডা মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করে নিতে হবে। যে যে স্থানগুলোতে চুলকানি খুশি বা এলার্জি রয়েছে সেই স্থানগুলোতে এই প্যাকটি লাগিয়ে রাখুন।
ভিনেগার -- একটি পাত্রে জলের সাথে সামান্য পরিমাণ ভিনেগার মিশিয়ে চুলকানি স্থানগুলোতে তোলার সাহায্যে মাখিয়ে নিন। ভিনেগার আমাদের চুলকানি প্রতিরোধ করে থাকে কারণ ভিনাগারে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য সমূহ।
পেপার মিন্ট ওয়েল -- চুলকানির প্রতিরোধ করতে পেপার ওয়েল বিশেষভাবে কাজ করে থাকে এতে রয়েছে অ্যান্টি মাইক্রো ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা চুলকানির জন্য খুবই কার্যকরী।
নারকেল তেল -- নারকেল তেল চুলকানি ও রোধে পড়ার সমস্যা দ্রুতই নিষ্পত্তি করে। নারকেল তেলের রয়েছে ফ্যাটি এসিড এটি আমাদের স্কিনকে হাইড্রেট করে এবং শুষ্কতা, দূর করে থাকে। প্রতিদিন গোসলের আগে নারিকেল তেল গায়ে মাসাজ করলে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
এলার্জি চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায়
এলার্জি চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে নেওয়া যাক আমাদের অনেকের সমস্যা রয়েছে ছোট থেকে বড় সকলেই আমরা এ সমস্যায় কমবেশি ভুগে থাকি। এলার্জি সমস্যাটা আবার অনেকের ছোটতে দেখা যায় না কিন্তু বড় হয়ে এনার্জি সমস্যা গুলো বা লক্ষণগুলো দেখা যায়।
এলার্জি সমস্যাটি আমাদের মাঝে অনেকটাই বিড়ম্বনা সৃষ্টি করে থাকেন এবং এর ফলে আমরা বিভিন্ন খাদ্য থেকে দূরে থাকি যার কারণে আমাদের শরীর পুষ্টিহীনতায় ভুগে থাকে। যারা এলার্জি সমস্যায় হয়ে থাকেন তারা জানেন এর যন্ত্রণা কত তীব্র তাই আগে থেকেই আপনি যদি সতর্ক হয়ে থাকেন।
টি-ট্রি অয়েল -- টি-ট্রি অয়েল এলার্জি সমস্যাই অনেক বেশি কাজ করে থাকে। এটি ত্বকের অ্যালার্জিতে অনেকটাই কার্যকর। অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টিআইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে টি- ট্রি অয়েল যা অনেক ত্বককে অ্যালার্জি থেকে নিষ্পত্তি দেয়। তাই যারা এলার্জি কত সমস্যায় ত্বকের লালচে ভাব এবং চুলকানি থেকে মুক্তি পেতে চান তারা টি-ট্রি অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।
অ্যালোভেরা জেল -- ত্বকের এলার্জি সমাধানের জন্য অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করা যায়। অনেকের এলার্জিগত সমস্যার জন্য ত্বকের চুলকানি অসুস্থতা দেখা দিয়ে থাকে এই চুলকানি শুষ্কতা দূর করতে এলোভেরা জেল বিশেষভাবে কাজ করে।
যোনিতে চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায়
চা গাছের তেল -- যোনি চুলকানি দূর করতে চা গাছের তেল অনেক উপকারী।পাতলা চা গাছের তেলে যোনি চুলকানি উপশমকারী প্রাকৃতিক অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে। যা যৌনি চুলকানি দূর করতে পারে।
অ্যালোভেরা -- অ্যালোভেরা জেল চুলকানি দূর করার জন্য বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য বিদ্যামান রয়েছে।অ্যালোভেরা জেলে রয়েছেন অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং প্রশান্তিদায়ক যা যোনিপথের চুলকানি থেকে আপনাকে অনেকটা নিষ্পত্তি দিবে।
বরফ -- চুলকানি থেকে অল্প সময়ের জন্য মুক্তি পেতে বরফ ব্যবহার করতে পারেন। অতিরিক্ত চুলকানি বৃদ্ধি পেলে যোনি স্থানে বরফের সেট দিতে পারেন এতে করে চুলকানি থেকে অনেকটাই প্রতিকার পাবেন।
নারকেল তেল -- চুলকানি জনিত স্থানে নারকেল তেল ভালোভাবে লাগিয়ে রাখুন এরপর গোসল করুন। এতে করে যোনি চুলকানি অনেকটাই দূর হবে।
লবণ পানিতে গোসল -- গোসলের পানিতে যদি লবণ ব্যবহার করা হয় তাহলে যৌন চুলকানি সমস্যা অনেকটাই দূর হয়। গোসলের পানিতে ৪ টেবিল চামচ লবণ মিশিয়ে নিতে হবে। সেই পানিতে নিজেকে আধ ঘন্টা মত ভিজিয়ে রাখুন এই কাজটি সপ্তাহে অন্তত একবার করুন দেখবেন আপনার যোনি চুলকানি সমস্যা অনেকটাই দূর হয়ে গেছে।সংক্রমণকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে।
পুরুষাঙ্গে চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায়
পুরুষাঙ্গে চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আপনাদের জানিয়ে রাখি কারন অনেকেই রয়েছেন যাদের পুরুষাঙ্গ চুলকানি সমস্যায় ভুগে থাকেন। সাধারণত এই সমস্যায় অনেক পুরুষ ভোগে থাকে কিন্তু তারা কি করবে এ সমাধান খুঁজে পাই না। আপনাদের সুবিধার্থে এখন আমরা পুরুষাঙ্গে চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানানোর চেষ্টা করব।
- পুরুষাঙ্গ সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। কারণ আমাদের রোগ জীবাণু থেকে দূরে থাকতে হলে অবশ্যই শরীরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
- চুলকানি সারাতে হলে পুরুষাঙ্গে কখনোই রঙিন টিস্যু বা সুগন্ধি যুক্ত সাবান ব্যবহার করা ঠিক নয়। অতিরিক্ত প্রয়োজন ছাড়া ফেমিনিন হাইজিন স্প্রে ও ডুশ ব্যবহার পুরুষঙ্গের জন্য ঠিক নয়। স্প্রে ও ডুশ ব্যবহারে যৌনাঙ্গে চুলকানি আরো বাড়িয়ে দিতে পারে।
- ছাড়া ভেজা কাপড় বা ঘামের কাপড় আমাদের শরীরে ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ আরো বাড়িয়ে তুলতে পারে এজন্যই গোসলের পর ভেজা কাপড় দ্রুত পাল্টে ফেলবেন এবং যখন অতিরিক্ত আমাদের শরীর ঘামে তখন আমাদের শরীরের বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করতে পারে তাই ঘামের ভেজা কাপড়ও তাড়াতাড়ি পাল্টিয়ে ফেলা উচিত।
- ছাড়াও যারা জলাশয়ে অতিরিক্ত সাঁতার কাটেন বা সুইমিংপুল সাঁতার কেটে থাকেন তাদের জন্য এ চুলকানি মারাত্মক আকা ধারণ করতে পারে কারণ এ সময় আক্রান্ত স্থান অনেকক্ষণ ভেজা থাকায় ছত্রাক সংক্রমণ ঘটে থাকে। যার কারণে পুরুষাঙ্গ চুলকানি বৃদ্ধি পায়।
- যারা পুরুষাঙ্গ চুলকানি সমস্যায় ভুগে থাকেন তাদের জন্য চিনি ছাড়া দই অনেক উপকারী আক্রান্ত স্থানে দই লাগিয়ে রাখলে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয়। উপকারী ব্যাকটেরিয়া রয়েছে যা চুলকানির জন্য বিশেষভাবে কাজ করে থাকে। কাপড় চোপড় গুলো সব সময় পরিষ্কার রাখুন এবং ভেতরের কাপড়টি বা অন্তবাস রোধে শুকিয়ে রাখুন। এবং অবশ্যই আপনার এই পুরুষাঙ্গ চুলকানোর জন্য আপনি চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে দ্রুত যোগাযোগ করুন।
হাত পায়ের চুলকানি দূর করার উপায়
হাত পায়ে চুলকানি দূর করার উপায় সম্পর্কে নেওয়া যাক। অনেক সময় আমাদের হাতে পায়ে বিভিন্ন কারণে চুলকানি হয়ে থাকে। সাধারণত হাতে এবং পায়ে চুলকানি হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হতে পারে দাদ। তাছাড়া আরও বিভিন্ন কারণে এই সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে। এখন এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে আমাদের করণীয় কি? এখন এই বিষয়ে জানব।
পেট্রোলিয়াম জেলি -- হাত-পা শুষ্কতার কারনে অনেক সময় চুল্কিয়ে থাকি এই সুস্থতা দূর করতে হাত পায়ে অসুস্থ ত্বক স্থানগুলোতে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করতে পারেন।
বেকিং সোডা -- চুলকানির অন্যতম মহা ঔষধ হলো বেকিং সোডা। আপনার আক্রান্ত স্থানে বেকিং সোডা লাগালে আপনি চুলকানি থেকে অনেকটাই পরিত্রাণ পাবেন। এর জন্য একটি পাত্রে দুই চামচ পানি এবং তিন চামচ বেকিং সোডা নিন এবং একটি পেস্ট তৈরি করুন এবং আক্রান্ত স্থানে বা হাত পায়ে চুলকানি থাকলে সেই স্থানগুলোতে বেকিং সোডার পেস্ট ব্যবহার করুন। এ পেস্টটি লাগিয়ে কমপক্ষে ৩০ মিনিট লাগে রাখুন এবং পরবর্তীতে ধুয়ে ফেলুন এতে করে আপনার চুলকানি কমে যাবে।
লেবু -- লেবুতে রয়েছে ব্লিচিং উপাদান। জাতকসহ হাত পায়ে চুলকানি রোধ করতে কাজ করে থাকে। ত্বকের যে কোন স্থানে চুলকানি হলে লেবুর রস লাগিয়ে নিন এতে করে চুলকানি অনেকটাই দূর হবে।
চুলকানি হওয়ার কারণ সমূহ
চুলকানি হওয়ার কারণ সমূহ সম্পর্কে আমরা অনেকেই হয়তো সঠিকভাবে জানি না এই কারণে চুলকানির বিভিন্ন পীরায় আমরা ভেবে থাকি এ চুলকানি হওয়ার কারণসমূহ সম্পর্কে জানলে আপনি আগে থেকে সতর্ক হবেন। চুলকানি হওয়ার কারণ সমূহ সম্পর্কে জানতে হবে। চুল কানের বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে যেমন শুষ্ক ত্বক আমাদের শরীরে যখন খসখসে থাকে
তখন চুলকানির সমস্যা বেড়ে যায়। লাল ও ফুসকুড়ি উঠে এবং জ্বালা হয়ে থাকে। ছাড়াও চাকা চাকা হওয়া, ফোসকা পড়া, রক্ত বের হয়ে থাকে।বয়স বাড়ার সাথে সাথে ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা অনেকটাই কমতে থাকে। এই কারণে বয়স্ক মানুষদের মধ্যে চুলকানি বেশি দেখা যায়।চুলকানি কারো ক্ষণস্থায়ী এবং কারো দীর্ঘস্থায়ী হয়ে থাকবে।
চুলকানি হলে আমাদের করণীয়
চুলকানি হলে আমাদের করণীয় সম্পর্কে জানা উচিত। চুলকানি সাধারণ কোন রোগ নয়। আমরা ইতিমধ্যেই চুলকানি দূর করার উপায় সম্পর্কে জেনেছি। যদি সঠিক সময় পদক্ষেপ না নেওয়া হয় তাহলে চুলকানির কারণে স্কিন ক্যান্সার হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই আমাদের শরীরের কোথাও যদি চুলকানি হয় তাহলে আমাদেরকে অবশ্যই দ্রুত এর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
- প্রথমত চুলকানি হলে আমাদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। যে জায়গার সাথে সাথে ও ভেজা তা পরিহার করতে হবে এবং ভিজা কাপড় পরা থেকেও বেশিক্ষণ থাকতে হবে।
- চুলকানি হলে আমরা ত্বকে বেকিং সোডা ব্যবহার করব।
- খাদ্যগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকবে কারণ এই খাদ্যগুলো আমাদের চুলকানির বৃদ্ধি করবে।
- চুলকানো স্থান গুলো অতিরিক্ত ঘুসাঘুসি বা চুলকানো থেকে বিরত থাকবো এবং আক্রান্ত স্থানগুলোতে বরফ দেব।
- বিভিন্ন প্রসাধনী ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবে এবং দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেব।
বাচ্চাদের চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায়
বাচ্চাদের চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জেনে নিন। অনেকেরই পরিবারে বাচ্চারা চুলকানি সমস্যায় পড়ে থাকেন এবং এর জন্য অনেকেই অশান্তি ভোগ করে থাকেন। বাচ্চাদের যদি এ ধরনের সমস্যা হয় সাধারণত তারা সবচাইতে বেশি অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে থাকে কারণ তারা কাউকে কিছু বলতে পারেনা। তাই বাচ্চাদের চুলকানি দূর করার জন্য আমাদের কি করা উচিত? এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিন।
- বাচ্চাদের ত্বক অনেকটাই নরম হয়ে থাকে তাই যেকোনো ব্যাকটেরিয়া সহজে আক্রমণ করতে পারে এই ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করতে হলে প্রতিদিন বাচ্চাকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন এবং গোসল দিন।
- চুলকানি দূর করতে কাঁচা শসা ব্যবহার করতে পারেন কাঁচা শসা ব্লেন্ডার করে শিশুর ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। দিনে দুই থেকে তিনবার এটি করলে শিশুর চুলকানি দূর হবে।
- বাচ্চার চুলকানি দেখা দিলে বরফের শেক দিতে পারেন বরফের শেক দুই থেকে তিন মিনিট দিয়ে রাখলে চুলকানি অনেকটাই কমে যাবে।
- তেল ও চায়ের তেল একই সাথে ব্যবহার করে শিশুর ত্বকে মাসাজ করুন এবং ২০ মিনিট রাখুন।
মুখে এলার্জি দূর করার উপায়
মুখে এলার্জি দূর করার উপায় সম্পর্কে জেনে নিন। মুখ হল শরীরের বিশেষ একটি অঙ্গ আর এখানে যদি এলার্জি দেখা দেয় তাহলে অনেকেই অশান্তি ভুগে থাকেন এতে করে মুখের সৌন্দর্য নষ্ট হয় তাহলে মুখে এলার্জি হলে আমাদের অবশ্যই মুখে এলার্জি দূর করার উপায় সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।
আরো পড়ুনঃ পুলিশ ক্লিয়ারেন্স করতে কত টাকা লাগে
নিম পাতা -- এলার্জির জন্য আপনি নিম পাতা ব্যবহার করতে পারেন। নিমপাতা ত্বকের ফোলাভাব, লালচেভাব এবং চুলকানি দূর করতে দারুন কাজ করে। বেশ কয়েকটি নিম পাতা পেস্ট করে আক্রান্ত স্থানে প্রয়োগ করুন। এবং শুকানোর আগ পর্যন্ত লাগিয়ে রাখুন।
তুলসি -- অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি তুলসী পাতা ত্বকের জন্য বিশেষভাবে কাজ করে থাকে। এজন্য কয়েকটি তুলসী পাতা ভালো করে পেস্ট করে মুখে ৩০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন এরপর ধুয়ে ফেলুন এতে করে এলার্জি সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যাবে। দিনে দুই থেকে তিনবার এটি করতে পারেন।
ঠান্ডা পানিতে গোসল -- ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল ত্বকের জ্বালাপোড়া ও এলার্জি অনেকটাই কমে যায়। ঠান্ডা পানিতে গোসল করলে আপনার রক্তনালী গুলো সঙ্কুচিত করতে সহায়তা করে এবং হিস্টামিন নিরসন হতে দেয় না। এটি অ্যালার্জির তীব্রতা এবং ত্বকের জ্বালাও অনেকটাই কমিয়ে ফেলে।
লেখকের শেষ মন্তব্য
চুলকানি দূর করার উপায় নিয়ে আমাদের আজকের এই আর্টিকেল। উপরের আলোচনা গুরুতে আমরা বিস্তারিত ভাবে চুলকানি নিয়ে আলোচনা করে এসেছি। আপনি যদি এই চুলকানি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আপনার উচিত আমাদের এই আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ে নেওয়া। কারণ বর্তমান সময়ে চুলকানি রোগ অনেক মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।
আশা করছি আপনারা আমাদের আর্টিকেল থেকে চুলকানি সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন। এতক্ষণ আমাদের আর্টিকেলের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক বিষয় নিয়মিত পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে থাকুন।
জুয়াদ্দার এআই এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রত্যেকটি কমেন্টের উত্তর দেওয়া হয়
comment url