বাংলাদেশে কিভাবে একজন স্টুডেন্ট টাকা আয় করতে পারে

  বাংলাদেশে কিভাবে একজন স্টুডেন্ট টাকা আয় করতে পারে। তা নিয়ে আজকের এই আর্টিকেল অনেক স্টুডেন্ট আছে যে পড়ালেখার পাশাপাশি কিভাবে আয় করতে হয় সে সম্পর্কে কোন ধারণা নেই।

বাংলাদেশে-কিভাবে-একজন-স্টুডেন্ট-টাক- আয়-করতে-পারে
আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে জানাতে চলেছি কিভাবে স্টুডেন্ট হওয়ার পাশাপাশি ফ্রী সময়টাকে কাজে লাগিয়ে কিভাবে টাকা আয় করা যায়।

সূচিপত্র: বাংলাদেশে কিভাবে একজন স্টুডেন্ট ঢাকা আয় করতে পারে

বাংলাদেশে কিভাবে একজন শিক্ষার্থী টাকা আয় করতে পারে

বাংলাদেশে কিভাবে একজন শিক্ষার্থী টাকা আয় করতে পারে এমন অনেকগুলো উপায় আছে। যেগুলো কাজে লাগিয়ে স্টুডেন্টের পাশাপাশি টাকা আয় করা যায়। বর্তমানে এমন অনেক স্টুডেন্ট আছে যারা পড়াশোনার পাশাপাশি নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে চায়। পড়াশোনার পাশাপাশি যে ফ্রী সময়টা থাকে সে সময় টাকা কাজে লাগিয়ে টাকা আয় করার উপায় খুঁজে সেই উপায়গুলো আজকের এই আর্টিকেলে তুলে ধরব।

অফলাইন টিউশন: স্টুডেন্টদের পাশাপাশি টিউশন করেও ভাল আয় করা যায়। আপনি যে সাবজেক্ট বা বিষয়গুলোতে পারদর্শী ও ভালো বুঝে থাকেন সেসব বিষয়গুলো টিউশনি করাতে পারেন। আবার বিভিন্ন কোচিং সেন্টার গুলোতে যোগাযোগ করতে পারেন। যেসব বিষয়গুলো টিউশনি করতে পারবেন সেগুলো বেছে নিয়ে কোচিং সেন্টার গুলোতে টিউশন শুরু করতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং: একজন স্টুডেন্ট হিসেবে বাংলাদেশ থেকে টাকা আয় করার আরেকটি অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং।স্টুডেন্ট হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয় করার জন্য কিছু নূন্যতম কিছু সেক্টর রয়েছে। যেগুলো অনুশীলন এর মাধ্যমে টাকা আয় করা যায়। ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্য বিভিন্ন সেক্টর রয়েছে যেমন রাইটিং গ্রাফিক্স ডিজাইন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট সোশ্যাল মিডিয়াম মার্কেটিং ভিডিও এডিটিং ইত্যাদি। 

এই সেক্টর গুলোর ভিতর যে বিষয়টার প্রতি আপনি আগ্রহী সেটা বেছে নিন এবং সেটার উপরে কোর্স করে upwork fiverr freelancer প্ল্যাটফর্মে একাউন্ট করে নিজের একটি প্রোফাইল তৈরি করুন। নিজের কাজের কিছু ডেমো দিয়ে প্রোফাইলটি সুন্দর ভাবে তৈরি করুন। যেন বাইরের কোন বায়ার এসে আপনার প্রোফাইল চেক করে আপনাকে কাজ দিতে আগ্রহী হয়। সেই কাজে মাধ্যমে আপনি পড়ালেখার পাশাপাশি একটি ভালো আয় করতে পারবেন।

ব্লগিং বা ইউটিউব: পড়ালেখার পাশাপাশি ফ্রি সময়টুকু কাজে লাগিয়ে ব্লগিং বা ইউটিউব এ একটি পছন্দ মত একাউন্ট খুলে সেখানে মানসম্মত ও শিক্ষণীয় ভিডিও যেগুলো দ্বারা মানুষের উপকার হয়। সেসব ভিডিও আপলোড করতে হবে। মনিটাইজেশন পাওয়ার পর আপনার অ্যাকাউন্টের সাবস্ক্রাইবার যখন বেশি হবে সেখানে থেকে ভিডিও ভিউয়ের পর একটা আর্নিং আপনার একাউন্টে যোগ হবে। এছাড়া আপনার চ্যানেলে ভালো সাবস্ক্রাইবার থাকলে অনেক ব্র্যান্ড আছে যারা তাদের পণ্য প্রচারের জন্য টাকা দিয়ে থাকে তাদের পণ্য প্রচার করার ক্ষেত্রেও আপনি আয় করতে পারেন।

অনলাইন সার্ভে : অনলাইনে সার্ভে করেও টাকা আয় করা যায়। সার্ভে কিছু বিশ্বস্ত ও জনপ্রিয় প্লাটফর্ম রয়েছে। যেগুলোতে সত্যি পেমেন্ট করে থাকে প্ল্যাটফর্ম গুলো হল
  • Swagbucks
  • Toluna
  • Prime Opinion
  • My point
  • Survey Junkie
এই প্ল্যাটফর্ম কাজ করার জন্য একটি ১৮৫০ টাকার মূল্যের আইপি কিনতে হবে এরপর ইমেইল ও কিছু তথ্য দিয়ে একটি একাউন্ট খুলতে হবে। অ্যাকাউন্ট খোলার পর কিছু সাধারন টাস্ক পাবেন সেগুলো পূরণ করতে হবে। আবার এর মধ্য রেফারেন্স বোনাস ও পাবেন যার দ্বারা কিছু টাকা আয় করা যায়। এই টাকা পেপাল গিফট কার্ড বা চেক মাধ্যমে আপনাকে নিতে হবে।

সেটা ব্যাংকে ট্রান্সফার করে টাকা তে কনভার্ট করে নিতে হবে। বর্তমানে এটা একটি ইনকামের বিশ্বস্ত প্লাটফর্ম হয়ে দাঁড়িয়েছে অল্প সময় দিয়ে কাজ করলে ভালো আয় করা যায়। সে ক্ষেত্রে স্টুডেন্টরা এই অনলাইন সার্ভে প্ল্যাটফর্মে কাজ করতে পারে।

ফেসবুক পেজ বুস্টিং:ফেসবুকে একটি পেজ খোলার পর সেই পেজে যদি ফলোয়ার্স ভালো থাকে তাহলে সেই পেজ বুস্ট এর মাধ্যমেও আয় করা যায়। সে ক্ষেত্রে পেজে ভালো ভালো কিছু কনটেন্ট থাকতে হবে । যেগুলো দেখে ফলোয়ার্সরা আকর্ষিত হবে সেরকম আকর্ষিত একটা কনটেন্ট বুস্ট করার মাধ্যমে টাকা আয় করা যায় বা অন্যের পণ্য বুস্ট করার মাধ্যমেও টাকা আয় করা যায়।


এছাড়াও কয়েকজন স্টুডেন্ট মিলে বা নিজে স্বল্প টাকা খরচ করে পার্ট টাইম কোন ব্যবসা বা দোকান দিয়ে কাজ করে সেখান থেকেও ভালো আয় করা যায়। সেক্ষেত্রে নিজের একটা অভিজ্ঞতা হয় ব্যবসা সম্পর্কে। সেক্ষেত্রে ব্যবসার লোকসান হলে সেই লোকসান দূর করে যেন উঠে দাঁড়াতে পারে সেরকম চিন্তাভাবনা মাথায় সব সময় থাকবে। কি করলে বা কোন কাজ করলে ব্যবসায়ী লোকসান হয় আবার উন্নতি হয় সে সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে দেখা যায় যে অনেক স্টুডেন্ট অন্যায় কাজ থেকে বিরত থাকে এবং পড়াশোনার পাশাপাশি আস্তে আস্তে একজন ভালো উদ্যোক্তা হয়ে ওঠে।

একজন স্টুডেন্টের জন্য চাকরি পাওয়া কঠিন কেন হয়

একজন স্টুডেন্টের জন্য চাকরি পাওয়ার কঠিন কেন হয় কঠিন হওয়ার কারণ অনেকগুলো থাকতে পারে। পড়াশোনার শেষ করার পরেও চাকরি পাওয়া বর্তমান স্টুডেন্ট এর জন্য অনেক টাফ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে কারণে বেকার সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পাচ্ছে ।এই বেকার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে স্টুডেন্টরা অন্যায় কাজে জড়িয়ে পড়ছে। আজকে আমরা আপনাদের কাছে তুলে ধরবো একজন স্টুডেন্টদের চাকরি পাওয়ার কঠিন হওয়ার পিছনে যে বিষয়গুলো ফেইস করতে হয়।

প্রথমত যে বিষয়টা ফেস করতে হয় সেটা হচ্ছে অভিজ্ঞতা। বর্তমানে চাকরি প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সার্কুলার প্রথমে উল্লেখ করে যে পূর্বে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তির প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে দেখা যায় যে অভিজ্ঞতা না থাকার কারণে স্টুডেন্টরা সে চাকরি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে আবার চাকরিতে আবেদন করতে ও দ্বিধাবোধ করে। অনেক স্টুডেন্ট পূর্বের কোন কাজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে কোন ধারণা থাকে না । কিন্তু চাকরির ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতার কথা বলার কারণে অনেক স্টুডেন্টদের চাকরি পাওয়া অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।

দ্বিতীয় যে বিষয়টা লক্ষ্য করা যায় সেটা হচ্ছে সুসম্পর্ক কাছের কোন আত্মীয় যদি চাকরি করে তাদের সুবাদে চাকরি পাওয়ার আশা থাকে। প্রতিষ্ঠানের চেনা পরিচিত সম্পর্ক থাকা ফলে অনেক স্টুডেন্টের চাকরি হয়ে যায়। আবার এমন অনেক স্টুডেন্ট আছে যাদের কারো সাথে সেরকম কারো সাথে সুসম্পর্ক নাই তাদের জন্য চাকরি অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরি নিয়োগ দিলে সে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত যেসব কর্মচারী আছে তাদের চেনা পরিচিত দের আগে চাকরি নিয়ে দেয় । তারপরে হাতে গোনা কয়েকজন স্টুডেন্টদের চাকরি হয় তবে খুব কমই হয়।

আবার চাকরি সম্পর্কে ধারণা না থাকার কারণে চাকরি না পাওয়া সম্ভাবনা দেখা যায়। যে চাকরির জন্য আবেদন করবে সে চাকরি সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকা অবশ্যক। ধারণা না থাকার ফলে অনেক সময় দ্বিধায় পড়তে হয়। প্রতিষ্ঠান এমন ব্যক্তিকে খুঁজে যে ব্যক্তি সে চাকরি সম্পর্কে সঠিক ধ্যান ধারণা থাকবে এবং সে কাজের জন্য তৈরি থাকবে।

চাকরি পাওয়ার কঠিন হওয়ার পেছনে আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে ইন্টারভিউ বা মৌখিক পরীক্ষা। পরীক্ষার জন্য সঠিক প্রস্তুতি না নেওয়া। চাকরির ক্ষেত্রে দেখা যায় লিখিত পরীক্ষার পাশাপাশি একটি মৌখিক পরীক্ষা হয়। সেই পরীক্ষার জন্য পূর্ব প্রস্তুতি না নিয়ে পরীক্ষা দিলে চাকরি হওয়া কঠিন হয়ে যায় কারণ মৌখিক ও লিখিত পরীক্ষা বিবেচনা করেই চাকরি নির্ধারণ করা হয়।

উপরোক্ত আলোচনার সাপেক্ষে আমরা জানতে পারলাম যে একজন স্টুডেন্ট এর চাকরি না হওয়ার যে কারণ গুলো উল্লেখ করা হলো সেগুলো মনোযোগ সহকারে পড়ে ও মেনে কাজ করলে অবশ্যই একজন স্টুডেন্ট এর চাকরি পাওয়া কঠিন হবে না। আমরা চেষ্টা করব উপরোক্ত আলোচনা গুলো পড়ে সেগুলো মেনে চাকরির আবেদন করা এবং যে চাকরি আবেদন করব সে চাকরি সম্পর্কে ভালো ধারণা নেওয়া যাতে করে কোন সমস্যায় করতে না হয়।

চাকরির জন্য কি কি দক্ষতা প্রয়োজন

চাকরির জন্য কি কি দক্ষতা প্রয়োজন চাকরির জন্য নিম্নলিখিতভাবে কিছু দক্ষতা থাকা জরুরী। যেসব দক্ষতা গুলো প্রায় সব ধরনের চাকরির জন্য প্রয়োজন হয়। নিম্নলিখিতভাবে আমরা কিছু দক্ষতার কথা আপনাদের কাছে তুলে ধরব। যেসব দক্ষতা থাকা জরুরী তবে চলুন সেই দক্ষতা গুলো জানা যাক।
চাকরির-জন্য-কি-কি-দক্ষতা-প্রয়োজন
  • কম্পিউটার চালানো সম্পর্কে বেসিক ধারণা থাকা লাগবে।
  • বাংলা ভাষায় স্পষ্ট ও সুন্দরভাবে কথা বলার দক্ষতা থাকা লাগবে। যেন কোন কথা সহজেই বুঝিয়ে দেওয়া যায়।
  • সমস্যার সমাধানের দক্ষতা। কোন সমস্যায় পড়লে সে সমস্যাটাকে দ্রুত সমাধান করার দক্ষতা।
  • সময়ের কাজ সময়ে শেষ করার দক্ষতা।
  • দলগতভাবে কাজ করার দক্ষতা।
  • নিজের তৈরি কৃত কাজের প্রতি বিশ্বাস রাখার দক্ষতা।
  • সততা ও আত্মবিশ্বাসের দক্ষতা।
চাকরির জন্য এসব দক্ষতা গুলো থাকা খুবই জরুরী। কোন প্রতিষ্ঠানেই এখন দক্ষতা ছাড়া চাকরি প্রদান করে না। তাই চাকরি পাওয়ার জন্য দক্ষতা গুলো অবশ্যই অর্জন করব ও জেনে রাখবো। এবং দক্ষতা গুলো নিজের মধ্যে তৈরি করতে হবে।

বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্রে পাঠশালাসফট এর গুরুত্ব ও ব্যবহার

বাংলাদেশের শিক্ষা ক্ষেত্রে পাঠশালাসফট গুরুত্ব ও ব্যবহার ব্যাপক পরিসরে ভূমিকা পালন করে আসছে। বিশেষ করে ডিজিটাল শিক্ষা ও শিক্ষার মান উন্নয়নের ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা পালন করেছে। প্লাটফর্ম যা শিক্ষাক্ষেত্রে বিভিন্ন সেবা প্রদান করে থাকে এর ফলে শিক্ষা প্রদান করা করার প্রক্রিয়া অনেক সহজ ও কার্যকর হয় উঠেছে ।এর মধ্য কিছু পাঠশালা সফট এর গুরুত্ব ও ব্যবহার আপনাদের মাঝে তুলে ধরব।


পাঠশালাসফট গুরুত্ব: পাঠশালাসফট এর গুরুত্ব ব্যাপক পরিসরে এটা শিক্ষার্থীদের জন্য নিয়ে এসেছে ডিজিটাল শিক্ষার সুবিধা ।এই সুবিধার ফলে শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসলে ও বাড়িতে বসে যে কোন জায়গায় বসে অনলাইনে পড়াশোনা করতে পারবে। যা শিক্ষা জগতকে অনেক সহজলভ্য করে তুলেছে। অন্যদিকে ক্লাসের স্টুডেন্ট উপস্থিতি থেকে শুরু করে শিক্ষকদের সব ধরনের ডাটা সংরক্ষণ করে রাখার সুবিধা রয়েছে ।

পাঠশালাসফট এর ব্যবহার: পাঠশালাসফট হচ্ছে একটি অনলাইন প্লাটফর্ম যেখানে একাউন্ট করে নিজের একটি প্রোফাইল তৈরি করে। সেখানে বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট তৈরি করেও দেওয়া যায়। আবার বিভিন্ন বিষয়ের উপর কুইজ টেস্ট দিতে পারবে এবং মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করেও সমস্ত কাজ করা যায় মোবাইল ফোনে এই অ্যাপটি ডাউনলোড করে ব্যবহার করা যাবে।

বাংলাদেশের শিক্ষা ক্ষেত্রে পাঠশালাসফট এর গুরুত্ব ও ব্যবহার বর্তমানে ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থাকে অনেক উন্নত ও সহজ করে তুলেছে। যার ফলে শিক্ষার্থীদের ও শিক্ষকের জন্য এটি একটি কার্যকরী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা কেমন হওয়া উচিত

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা কেমন হওয়া উচিত বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের গুণগত মান উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করে থাকে। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে শিক্ষক। একজন ভালো শিক্ষক শিক্ষার্থীদের জন্য কেবল বইয়ের জ্ঞান দিতে নয় বরং তাদের জীবনের মূল্যবোধ শিখাতে এবং সৃজনশীল চিন্তার দিক থেকেও সহায়ক হন। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা এমন হওয়া উচিত যেন একজন শিক্ষার্থী শিক্ষা গ্রহণ করে সে যেন বেকার না থাকে। সেজন্য প্রথমে যে দিকটা দেখতে হবে সেটা হচ্ছে শিক্ষক। একজন অভিজ্ঞ শিক্ষক পারে একজন শিক্ষার্থীকে সঠিকভাবে গড়ে তুলতে।

স্কুল কলেজে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার সময় একজন দক্ষ অভিজ্ঞ শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। যেন সৃজনশীল প্রশ্ন সমাধান ও তৈরীর পাশাপাশি প্রযুক্তি গত ধারণা দিতে পারে। এছাড়া আমাদের দেশে অনেক শিক্ষার্থী পরিবার গরিব হওয়ায় ছেলে মেয়েদের নিম্ন শ্রেণি থেকে উচ্চ শ্রেণী পর্যন্ত সঠিকভাবে পড়াশোনা করাতে পারে না। সেসব গরিব শিক্ষার্থীদের পরিবারদের জন্য বিশেষ সুবিধা তৈরী করা। যেন তারা আর দশটা শিক্ষার্থীদের মত পড়াশোনা করতে পারে। এছাড়া গরীব ছেলে মেয়েদের উপবৃত্তির ব্যবস্থা করে দিতে হবে। যদিও বর্তমানে উপবৃত্তি ব্যবস্থা থাকলেও অনেক গরিব শিক্ষার্থীরা এই উপবৃত্তির পাই না।

তার কারণ হচ্ছে স্কুলে শিক্ষকদের পরিচিত ও আত্মীয় যারা পড়াশোনা করে তাদের জন্য উপবৃত্তির ব্যবস্থা করে দেয়। সেজন্য গরিব শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তির সেই সুযোগ টা পায়না। গরীব শিক্ষার্থীরা যেন উপবৃত্তি পায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাইয়ের জন্য ক্লাস ভিত্তিক পরীক্ষা নিতে হবে। পরীক্ষার পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের বেশি গুরুত্ব দিতে হবে যেন তারা পিছে না থাকে। এভাবে একজন শিক্ষক যদি শিক্ষা প্রদান করে থাকে তাহলে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি অনেকটা এগিয়ে যাবে। কোন লিঙ্গ ভেদাভেদ না করে সকলকে সমানভাবে শিক্ষা প্রদান করতে হবে তাহলে অবশ্যই বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি হবে।

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার বর্তমান অবস্থা

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কের যদি বলি তাহলে আমাদের বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালিত হয় শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে। সেখানকার নিয়ম-কানুন আদেশ-নিদেশ দ্বারা পরিচালিত করা হয়। শিক্ষক নিয়োগ থেকে পরীক্ষার প্রশ্ন তৈরি স্কুল ছুটি এসব শিক্ষা মন্ত্রণালয় দ্বারা নির্ধারিত হয়। বর্তমানে শিক্ষা ব্যবস্থার কথা যদি বলা যায় তাহলে সে রকম কোন ব্যবস্থা শিক্ষা ব্যবস্থার সঠিক ব্যবস্থা দেখা যায় না। ফলে সঠিক শিক্ষার অভাবে অনেক ছাত্র-ছাত্রী অনেক সাবজেক্টে জ্ঞানহীনতায় ভোগে ।
বাংলাদেশের-শিক্ষা-ব্যবস্থার-বর্তমান-অবস্থা

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় সবচেয়ে বেশি যে বিষয়টা ভূমিকা পালন করে সেটা হচ্ছে একজন অভিজ্ঞ ও দক্ষ শিক্ষক। একজন শিক্ষার্থীকে সঠিক গাইডলাইনের দ্বারা শিক্ষিত করতে পারে। কিন্তু বর্তমানে দুর্নীতি ও ঘুষ এর জন্য অনেক অভিজ্ঞ শিক্ষার্থী শিক্ষকতা চাকরি থেকে বঞ্চিত হয়। দেশে দুর্নীতি ও ঘুষ থাকার জন্য একজন শিক্ষক মৌখিক ও লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়ার ফলে ও শিক্ষকতার চাকরি পেয়ে যায়। আর যারা অভিজ্ঞ শিক্ষক তারা চাকরি থেকে বঞ্চিত হয়।

এখন বর্তমানে যে বিষয়টা লক্ষ্য করা যায় সেটা হচ্ছে প্লে থেকে শুরু করে ক্লাস থ্রি পর্যন্ত প্রথম ও দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শ্রেণীর কোন পরীক্ষা নেওয়া হয় না। শুধু চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হয়। আবার ক্লাসে পড়া যেগুলো বুঝানো দরকার সেগুলো বুঝিয়ে দেওয়া হয় না। চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর প্রশ্নপত্র সৃজনশীল দেখা যায়। কিন্তু সৃজনশীল প্রশ্নের বিষয় সম্পর্কে কোন রকম ধারণা দেওয়া হয় না। পরীক্ষা পত্রে সৃজনশীল প্রশ্ন থাকায় অনেক শিক্ষার্থীর সৃজনশীল প্রশ্ন সম্পর্কে ধারণা না থাকার কারণে পরীক্ষায় ভালো নাম্বার পেয়ে পাস করতে পারে না।


এবার যদি ক্লাস সিক্স থেকে ক্লাস নাইন পর্যন্ত শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে বলি তাহলে এসাইনমেন্ট এর যে বিষয়টা। পরীক্ষা বাদ দিয়ে এসাইনমেন্ট নেওয়া হয় এর দ্বারা কি কোন শিক্ষার্থী সৃজনশীল মুখস্ত প্রশ্ন সম্পর্কে যে ধারণাটা পায় অ্যাসাইনমেন্টের দ্বারা কি আদর্শ ধারণাটা পায়। আপনার কি মনে হয় আমার মনে হয় কোন সমস্যা সমাধান এবং সঠিক কথা বলার ও উপস্থাপনের জন্য সৃজনশীল গাইডলাইন একজন শিক্ষার্থীর জন্য অনেক গুণ ভালো। 

এসাইনমেন্ট পরীক্ষা আর এখনকার বইগুলোর ভিতরে যে পরিবর্তন তার দাঁড়া একজন শিক্ষার্থী সুষ্ঠ শিক্ষা পায় না। ক্লাস 10 এর পরীক্ষা নেওয়া যদিও হয়। কিন্তু ক্লাসের যে রুটিন যদি ৪০ মিনিটের ক্লাস টাইম হয়ে থাকে তাহলে 20 মিনিট পর ক্লাসের শিক্ষক আসে। যার ফলে শিক্ষার্থীরা বইয়ের পড়া গুলোতে সঠিকভাবে এগোতে পারে না।

ইন্টার লেবেল যেটা এইচ এস এস সি এর পূর্ণরূপ Higher Secondary School Certificate. বাংলা অর্থ উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট এর পাশাপাশি ডিগ্রী এবং অনার্স। এসব নিয়ে যদি কিছু কথা বলি তাহলে বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে কোন রকম মিল খুঁজে পাওয়া যায় না। ইন্টার লেভেলে এসে একজন শিক্ষার্থী নিজেকে স্বাধীন মনে করে। অনেক শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেওয়া ছাড়া ক্লাসে আসে না। কলেজের কোন নির্দিষ্ট নিয়ম কানুন থাকে না। প্রিন্সিপাল এ বিষয়গুলো লক্ষ্য করেনা। ডিগ্রিতে ভর্তি হলে তিন বছর এর কোর্স করতে লাগে ৬ বছর।

শিক্ষা ব্যবস্থার প্রথম স্তর থেকে শুরু করে শেষ স্তর পর্যন্ত একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষা স্তর শেষ করতে তার অর্ধেক বয়স চলে যায়। বাংলাদেশের একজন শিক্ষার্থীর চাকরির বয়সসীমা ৩০ বছর হওয়ায় শিক্ষা স্তর শেষ করতে তার অর্ধেক বয়স শেষ। আর বাকি অর্ধেক চাকরি খোঁজার পিছনে বয়স শেষ হয়ে যায়। যে তথ্যগুলো আপনাদের কাছে তুলে ধরলাম বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার বর্তমান অবস্থা। এই শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নত করার দরকার আছে বলে আমি মনে করি। একজন শিক্ষিত তো শিক্ষার্থী হতে হলে সঠিক শিক্ষা ব্যবস্থার প্রয়োজন সঠিক গাইড লাইনের প্রয়োজন এবং অভিজ্ঞ ও দক্ষ শিক্ষকের প্রয়োজন। কিন্তু বর্তমানে যে শিক্ষা ব্যবস্থার বর্তমান অবস্থা সেক্ষেত্রে শিক্ষিত শিক্ষার্থী হওয়া অনেক কঠিন।

শেষ মন্তব্য বাংলাদেশে কিভাবে একজন স্টুডেন্ট টাকা আয় করতে পারে

আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করেছি বাংলাদেশে কিভাবে একজন স্টুডেন্ট টাকা আয় করতে পারে। বাংলাদেশের শিক্ষা ক্ষেত্রে পাঠশালার গুরুত্ব ও ব্যবহার সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আরো কিছু তথ্য তুলে ধরেছি যেমন বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা কেমন হওয়া উচিত যেগুলো পড়ে হয়তো আপনি উপকৃত হবেন। আমরা আর্টিকেলের মধ্যে সঠিক তথ্যটি তুলে ধরার চেষ্টা করি। কোন ক্ষেত্রে যদি আপনাদের কাছে তথ্যটি সঠিক না হয়ে থাকে তাহলে আমাদের জানাবেন আমরা সেটা সংশোধন করার চেষ্টা করব।









এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জুয়াদ্দার এআই এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রত্যেকটি কমেন্টের উত্তর দেওয়া হয়

comment url